নিজের জন্মভূমি রক্ষার পক্ষে গান গেয়ে যিনি গলায় তুলে এনেছিলেন প্রতিবাদের সুর, সেই গাজাবাসী শিশু হাসান আলা আয়াদ আর বেঁচে নেই। ইসরায়েলের বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছে এই প্রতিভাবান শিশুশিল্পী, যার কণ্ঠ হাজারো মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস ছিল।
হাসান আলা আয়াদ গান গেয়েছিল গাজার হয়ে, নিপীড়নের বিরুদ্ধে। তার কণ্ঠে সুর বাঁধা প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিটি কোণে। গানগুলো ভাইরাল হয়ে পড়েছিল, হয়ে উঠেছিল মানুষের হৃদয় ছোঁয়া এক প্রতিবাদের ভাষা। তার সুর গাজা উপত্যকার যন্ত্রণাকে তুলে ধরেছিল বিশ্ববাসীর সামনে, চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত জীবনের নির্মম বাস্তবতা।
হাসানের বাড়ি ছিল গাজার নুসাইরাত শহরে। গত ৫ নভেম্বর শহরটিতে চালানো এক বিমান হামলায় প্রাণ হারায় এই কিশোর শিল্পী। হামলার পরপরই তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে, এবং শোক ছড়িয়ে পড়ে গাজার গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী।
হাসান শুধু গান গেয়ে আনন্দ ছড়াত না, সে ছিল শহীদ ও নিহতদের পক্ষে এক অবিস্মরণীয় কণ্ঠস্বর। তার প্রতিটি গান ছিল জীবনের জয়গান, নিপীড়নের বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিবাদ। সে হয়ে উঠেছিল এক প্রতীক, এক সাহসী বার্তাবাহক। আজ সে নেই, কিন্তু তার গাওয়া গান এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ায়, স্মরণ করিয়ে দেয়—একটি কণ্ঠ কতটা শক্তিশালী হতে পারে।
হাসানের মৃত্যুতে শুধু গাজা নয়, বিশ্বজুড়েই নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে তার গান ও মৃত্যুর খবর। অনেকেই আবেগঘন শব্দে লিখেছেন—”সে গেয়েছিল গাজার পক্ষে, আজ সেই গাজা তাকে নিজের বুকে শুইয়ে দিয়েছে।”
তথ্যসূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ
 
পিডিএফ নিউজ ২৪ ঘণ্টা বাংলার খবর