ইংলিশ ফুটবলের মাঠে আবারও আলো ছড়ালেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী। টানা তিন ম্যাচে হেরে বসে থাকা শেফিল্ড ইউনাইটেডের জন্য তিনি হয়ে উঠলেন স্বস্তির প্রতীক। দুর্দান্ত নৈপুণ্যে দলকে এনে দিলেন মূল্যবান এক জয়, যা তাদের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ওঠার লড়াইয়ে আবারও প্রাণ ফেরালো।
ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে ঘরের মাঠে কার্ডিফ সিটিকে দুই শূন্য গোলে হারিয়েছে হামজার দল শেফিল্ড ইউনাইটেড। লিগে টানা তিন ম্যাচ হারের পর এই জয় দলটির জন্য ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, প্রিমিয়ার লিগে সরাসরি ওঠার জন্য লিগ টেবিলের শীর্ষ দুই স্থানে থাকা জরুরি।
হামজা চৌধুরীর পারফরম্যান্স ছিল চোখধাঁধানো। গোল ঠেকানো থেকে শুরু করে নিখুঁত ট্যাকেল, প্রতিপক্ষের আক্রমণ প্রতিহত করা, কিংবা দুর্দান্ত পাস – প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি দেখিয়েছেন তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব। তার কৌশলী খেলা ও গতি বারবার ভেঙে দিয়েছে কার্ডিফ সিটির রক্ষণভাগ। ম্যাচজুড়ে শেফিল্ড ইউনাইটেডের আধিপত্যের পেছনে মূল ভূমিকা ছিল এই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তারকার।
ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে হামজা চৌধুরী দেখেন একটি হলুদ কার্ড। তবে তাতেও তার মনোবল ভাঙেনি। বরং এরপর আরও ধারালো হয়ে ওঠে শেফিল্ডের আক্রমণভাগ। হামজার নেতৃত্বে মাঝমাঠে দৃঢ়তা পায় দলটি এবং একের পর এক আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে প্রতিপক্ষকে।
ম্যাচের ৮২তম মিনিটে গুস্তাভ হেমার গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। এরপর ৮৭ মিনিটে বেনদায়াস গোল করে শেফিল্ড ইউনাইটেডের জয় নিশ্চিত করেন। দুই শূন্য ব্যবধানের এই জয়ে এখন লিগ টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এসেছে শেফিল্ড ইউনাইটেড। তবে লক্ষ্য একটাই—শীর্ষ দুইয়ে উঠে সরাসরি প্রিমিয়ার লিগে পদার্পণ করা।
হলুদ কার্ড দেখে কিছুটা উত্তেজিত থাকলেও হামজার খেলা ছিল প্রশংসনীয়। তার পা থেকেই এসেছে ম্যাচের দারুণ কিছু পাস, রক্ষণভাগে ছিল তার দৃঢ়তা, আর মাঝমাঠে তিনি ছিলেন প্রতিপক্ষের জন্য দেয়ালস্বরূপ। শেফিল্ড ইউনাইটেডের এই স্বস্তির জয়ের পেছনে হামজার অবদান নিঃসন্দেহে মূল চাবিকাঠি।
এই জয়ে শেফিল্ড ইউনাইটেড কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে পেয়েছে। তবে লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছাতে হলে পরবর্তী ম্যাচগুলোতে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। হামজার ফর্ম যদি এমনই থাকে, তবে দলটির জন্য প্রিমিয়ার লিগের দরজায় কড়া নাড়া কেবল সময়ের ব্যাপার।
তথ্যসূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ
 
পিডিএফ নিউজ ২৪ ঘণ্টা বাংলার খবর